অনলাইন, টিভি, রেডিওসহ ডিজিটাল প্লাটফর্মে প্রতিদিন ৩৪৭ মিলিয়ন পাঠক-দর্শকের কাছে যায় বিবিসির নিউজ ও প্রোগ্রাম। তাই বাংলাদেশে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় চাকরি বিবিসির কর্মী হওয়া।একদিকে যেমন উচ্চ বেতন, দারুণ এক কর্ম পরিবেশ, অন্যদিকে সামাজিক সম্মান। সবমিলিয়ে এ প্রতিষ্ঠানে কাজের জন্য বেশিরভাগ সাংবাদিকই সুযোগের জন্য মুখিয়ে থাকেন।সম্প্রতি বিবিসি বাংলা মাল্টিমিডিয়া ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এরইমধ্যে অনেকে আবেদন করেছেন। অনেকে আবার কিছুটা দ্বিধায় রয়েছেন। দ্বিধার অন্যতম কারণ অনেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখেন না।
মুক্তবাকের পক্ষ থেকে আমরা সেখানে কর্মরত ও সাবেক কয়েকজন কর্মীর সাথে কথা বলেছি। তার আলোকে বিবিসি বাংলার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে তুলে ধরছি।
প্রথম ধাপ : আবেদন
কয়েক ধাপ পেরিয়ে চুড়ান্তভাবে কাজের সুযোগ মেলে বিবিসি বাংলায়। প্রথম ধাপে রয়েছে অনলাইন আবেদন। এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইন সার্কুলারের সাথে আবেদনের লিংক যুক্ত থাকে।
আবেদন করতে হলে এই লিংকে যান : অ্যাপ্লাই
সেখানে সিভি ক্রিয়েট করতে হয়। নাম, মেইল, পাসওয়ার্ড কনফার্ম করার পর দেয়া হবে প্রশ্ন। এই অংশেই নির্ভর করে আপনি পরবর্তী ধাপের জন্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য কিনা। এসব প্রশ্নের মাধ্যমে মূলত যাচাই করা হয় ইংরেজি ভাষার দক্ষতা। পাশাপাশি এমন প্রশ্নই থাকে যাতে সাংবাদিক হিসেবে আপনার দক্ষতা, উপস্থিত বুদ্ধি, সৃজনশীলতা, আইডিয়া/উদ্ভাবন সক্ষমতা স্পষ্ট হয়। জানতে চাওয়া হয় প্রত্যাশিত স্যালারি সম্পর্কেও। দিতে হবে রেফারেন্স ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের লিংক। এছাড়া আপনার কাজের অনলাইন লিংক দিতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ : লিখিত পরীক্ষা
অনলাইনের ভিত্তিতে অধিকতর যোগ্যদের ডাকা হয় রিটেন পরীক্ষার জন্য। ঢাকাতেই কোনো হোটেল/সেমিনার রুমে বাছাইকৃতদের লিখিত পরীক্ষা নেয়া হবে। পরীক্ষায় পেশাদার সাংবাদিকতা সম্পর্কে তত্ত্বীয় প্রশ্ন থাকে। এছাড়া সংবাদ লেখার দক্ষতা, নিউজ সোর্স, পরিস্থিতি মোকাবেলার দক্ষতা যাচাইমূলক প্রশ্ন করা হয়। জানতে চা্ওয়া হয় সমসাময়িক ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে নিউজ আইডিয়া।
তৃতীয় ধাপ : ভাইভা
চুড়ান্ত বাছাইয়ে উত্তীর্ণদের ডাকা হয় ভাইভায়। ভাইভা নেন বিবিসি বাংলার প্রধান। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভাইভা বোর্ডে বিবিসি থেকেও কেউ থাকেন। এরপর নিয়োগ।