www.muktobak.com

‘গ্যাগিং অ্যাক্ট’


 রাধিকা আয়েঙ্গার    ২৮ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার, ১২:০৫    আন্তর্জাতিক


১৮৫০-এর দশক থেকে শুরু করে ব্রিটিশ সরকারের চাপিয়ে দেয়া কঠোর সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষের সংবাদপত্রের সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে...অনুবাদ: শওকত হোসেন

ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতবর্ষের সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি আইন পাস করা হয়েছিল। ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের ডামাডোলের আগে সংবাদপত্র জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজে প্রবলভাবে সংশ্লিষ্ট ছিল। ফলে অনিবার্যভাবেই ব্রিটিশ সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রশ্নে শঙ্কিত হয়ে উঠতে শুরু করে। পত্রপত্রিকা মারফত বিভিন্ন বুলি ও প্রতীকের মাধ্যমে এক ধরনের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন দানা বাঁধতে শুরু করে। এই পরিপ্রেক্ষিতে লর্ড লিটনের হাতে ‘গ্যাগিং অ্যাক্ট’ পাস করা হয়। ভারতীয় প্রকাশনার বিষয়বস্তুতে কাটছাঁট করাই ছিল এর উদ্দেশ্য। এ আইন সব ভারতীয় প্রকাশনা সংস্থাকে সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণে বাধ্য করার পাশাপাশি ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে যেন কোনো লেখালেখি হতে না পারে বা কোনো কারণেই সরকারকে চ্যালেঞ্জ করা না হয়, তাও নিশ্চিত করে।

সরকারের পক্ষে দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার ছিল, সংবাদপত্র ‘গ্যাগিং অ্যাক্ট’-এর ব্যাপারে নির্লিপ্ত থেকে একে পাশ কাটিয়ে খবর প্রকাশ করে যাচ্ছিল। সরকারকে তা আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দিকে ঠেলে দেয়। যেমন ধরা যাক, ১৮৭০-এর দশকে সরকার ভারতীয় জনগণের নিদারুণ দুর্দশার কথা জানিয়ে বিপুল জনগণকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামে যোগদানে অনুপ্রাণিত করে চলা বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার প্রকাশনার দিকে নজর ফিরিয়েছিল। এমনি একটা প্রকাশনার নাম (১৮৬৮ সালের বর্তমান বাংলাদেশের যশোর জেলায় প্রতিষ্ঠিত) বাংলা অমৃত বাজার পত্রিকা। শোষিত নীলচাষীদের সংবাদ প্রকাশ করায় অমৃত বাজার পত্রিকা কর্তৃপক্ষের নজর কেড়েছিল।

স্যার অ্যাশলি ইডেন নামে জনৈক ব্রিটিশ কর্মকর্তা অমৃত বাজার পত্রিকার সম্পাদক শিশির কুমার ঘোষের সঙ্গে দেখা করে সম্পাদকীয় ছাপার আগে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ইডেনের হাতে তুলে দিতে বলেন। ঘোষ তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন। ভারতজুড়ে বেশকিছু আঞ্চলিক পত্রিকার সম্পাদকরাও একই কাজ করেছিলেন। এই আলোকে ১৮৭৮ সালের ১৪ মার্চ ভার্নাকুলার প্রেস অ্যাক্ট জারি করা হয়। এ আইনে ব্রিটিশ সরকার ‘প্রাচ্যীয় ভাষার প্রকাশনায়’ ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী লেখা’ ঠেকানোর লক্ষ্যে মাতৃভাষায় প্রকাশিত পত্রিকার ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের দাবি করে। ইংরেজিভাষী পত্রিকার ক্ষেত্রে এ আইন প্রয়োগ করা হয়নি। দ্বিভাষিক পত্রিকা অমৃত বাজার পত্রিকা পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে কেবল ইংরেজি সাপ্তাহিকে পরিণত হয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে রাজনীতির শেকড় রেখে ভারতীয় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন চালিয়ে যায়। পত্রিকাটি জ্বালাময়ী, রাজনৈতিক দিক থেকে উচ্চকণ্ঠ ও নাছোড় ছিল। সাপ্তাহিকটি এমনকি একবার ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জনকে ‘তরুণ ও খানিকটা বাবুসুলভ এবং পূর্ববর্তী কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই সীমাহীন কর্তৃত্ব লাভকারী’ হিসেবে বর্ণনা করেছিল।

১৮৮০-এর দশকে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন গতি লাভ করে ভারতীয় সংবাদপত্রকে জোরালো ধাক্কা দেয়। অনিবার্যভাবেই সংবাদপত্র সম্পর্কে সতর্ক সরকার একে নিয়ন্ত্রণ ও রাজনৈতিক বিক্ষেভ দমনের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি আইন পাস করে। দ্য স্টোরি অব দ্য ইন্ডিয়ান প্রেসে (ইকোনমিক অ্যান্ড পলিটিক্যাল উইকলি১৯৫৫- প্রকাশিত) রেবা চৌধুরী লিখছেন, ‘বিভিন্ন সময় বেশকিছু সংবাদপত্র সম্পর্কিত আইন ও বিধিনিষেধ জারি করে আইনের বইতে জুড়ে দেয়া হয়। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর ১৮৯৮ সালে দণ্ডবিধির ১২৪ ক ও ১৫৩ ক ধারা জারি করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধিতে ৫৬৫ নম্বর ধারাও রয়েছে। ১৯০৮-১১ সময়ের ভেতর দ্য নিউজপেপারস (ইনসাইটমেন্ট টু অফেন্সেসঅ্যাক্ট অব ১৯০৮দ্য প্রেস অ্যাক্ট অব১৯১০দ্য প্রিভেনশন অব সিডেশাস মিটিংস অ্যাক্ট অব ১৯১১  দ্য ক্রিমিনাল  অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট অব ১৯০৮ নামে চারটি নতুন ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছিল। ১৯০৩ সালে সংশোধিত ‘দ্য অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ও ছিল।

১৯১০ সালের প্রেস অ্যাক্ট ভারতবর্ষের সংবাদপত্রের ওপর জোরালো আঘাত হানে। রেবা চৌধুরী এক ধরনের ধারণা জোগাচ্ছেন: ‘প্রেস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া ১৯১০-এর প্রেস অ্যাক্টের কার্যকারিতাসংক্রান্ত এক স্মারকলিপিতে উল্লেখ করে যে, এ আইনের আওতায় প্রায় এক হাজার পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ১৯১৮ সালে তৈরি অন্য এক বিবরণী অনুযায়ী আইনের প্রথম পাঁচ বছরে সরকারে হস্তগত হওয়া জামানত ও বাজেয়াপ্তকৃত সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫ লাখ রুপি। এ আইনের অধীনে ৫০০-এর বেশি পত্রিকা নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে।’ সরকারবিরোধী সম্পাদকীয় প্রকাশের দায়ে বেশ কয়েকজন সম্পাদকের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ অমৃত বাজার পত্রিকাকে সরকারের তহবিলে জামানত হিসাবে ৫ হাজার রুপি দিতে হয়েছিল।

সংবাদপত্র ও সরকারের ভেতর টানাপড়েন ক্রমেই বেড়ে উঠছিল। প্রেস ইমার্জেন্সি অ্যাক্ট অব ১৯৩১ একে আরো জোরালো করে তোলে। মহাত্মা গান্ধীর সত্যাগ্রহের সময় তিনি নিজের মত প্রকাশ ও জনগণকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সমবেত করার কাজে সংবাদপত্রকে কাজে লাগিয়েছেন।

দক্ষিণ এশীয় ইতিহাসের একজন বিশেষজ্ঞ জুডিথ এম. ব্রাউন তার গ্রন্থ গান্ধী’জ রাইজ টু পাওয়ারইন্ডিয়ান পলিটিকস১৯১৫-২২- লিখেছেন, ‘২২ মার্চ থেকে ৬ জুন পর্যন্ত সত্যাগ্রহ চালু ছিল। পত্রিকামতে, ২১ এপ্রিল এটি তুঙ্গে পৌঁছে। এ সময় অঙ্গীকারের পক্ষে স্বাক্ষরদাতার সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৩৩৭। স্বয়ং গান্ধী দুটি মূল ধারায় সক্রিয় ছিলেন, বাহ্যিক প্রচারণা ও অভ্যন্তরীণ সংহতকরণ। অবশিষ্ট ভারতের বেলায় জনগণের সহানুভূতি লাভের জন্যে সর্বোচ্চ করেছেন তিনি, বন্ধুদের কাছে লিখেছেন, বোম্বেতে ভাষণ দিয়েছেন এবং সম্পাদকদের কাছে চিঠি লিখে এবং অগুনতি বিবৃতি দিয়ে সংবাদপত্রকে তোয়াজ করেছেন...।’ তার নিজের ভাষায়, ‘তারা যতটা শক্তিশালী, সর্বসম্মত ও আবেগময় জনমত যতটা চায় ততটা অর্থ চায় না।’

১৯৩০ সালে গান্ধী সূচিত লবণ সত্যাগ্রহের পরপর তাকে গ্রেফতার করা হলে ১৯৩১ সালের প্রেস ইমোর্জেন্সি অ্যাক্টকঠোরভাবে প্রয়োগ করা হয়। রেবা চৌধুরী তার নিবন্ধে বলছেন, ‘অবশ্য এ পুরো সময়জুড়ে ১৯৩১ সালের প্রেস ইমার্জেন্সি অ্যাক্ট কার্যকর ছিল এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী কঠোর বা নমনীয়ভাবে প্রয়োগ করা হয়। ১৫ বছর সময়ে মামলার সংখ্যা ১৯১০ সালের আইনের অধীনের মামলার সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে। বোম্বে, বাংলা, দিল্লি, মাদ্রাজ, পাঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশে এক হাজারেরও বেশি পত্রিকাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়।’

১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা সংবাদপত্রের জগতে আরো প্রকট শোরগোল চাগিয়ে দেয়। ব্রিটিশ সরকার ভারতকে যুদ্ধে টেনে নিলে কংগ্রেস পার্টির তরফ থেকে প্রতিবাদ ওঠে। অনাকাঙ্ক্ষিত বিক্ষোভের উসকানি নিয়ে ভীত সরকার দলের বিদ্রোহের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে কঠোরতর ব্যবস্থা নেয়: ভারতীয় সংবাদপত্রের ওপর খড়্গহস্ত হয়ে পড়ে— ইন্ডিয়ান প্রেস (ইমার্জেন্সি পাওয়ার্সঅ্যাক্ট১৯৩১ বহাল থাকা সত্ত্বেও সরকার কঠোর সেন্সরশিপ দাবি করে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন খবর নিয়ন্ত্রণ ও বাছাই এবং সচেতনভাবে যুগপৎ প্রপাগান্ডাভিত্তিক খবর তৈরি করতে থাকে। একই সময়ে বিষয়বস্তুর বিচারে বেশ কয়েকটি প্রকাশনার কণ্ঠরোধ করা হয়। যেমন ১৯৩৯ সালের নভেম্বরে দেশজুড়ে কারাবন্দিদের অনশন ধর্মঘটের খবর প্রকাশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। এখানে ধর্মঘটে যোগদানকারী অন্তত ১৫ জন কারাবন্দিত্ব সম্পর্কিত ছিলেন।

বাক্স্বাধীনতার প্রতি হুমকির আশঙ্কায় সংবাদপত্রের অধিকার নিশ্চিত করাই ছিল পত্রিকা সম্পাদকদের নতুন উদ্বেগ। এরই ভেতর পত্রিকার অধিকার রক্ষাকারীর দায়িত্ব পালনের জন্য অল ইন্ডিয়া নিউজপেপার এডিটরস কনফারেন্স আবির্ভূত হয়। সংগঠনটি সংবাদপত্রের ওপর থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের লক্ষ্যে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে এ সংগঠন লড়াই করে এবং সরকারের সঙ্গে আরো উন্নত সম্পর্ক স্থাপনের কথা বলে। ১৯৪১ সালে আরোপিত বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে লেখেন গান্ধী। তিনি বলেন, ‘কোনো উদ্যোগী সম্পাদক বা প্রকাশক যদি ছাপাখানা খোয়ানোর ঝুঁকি না নেন, যুদ্ধ প্রয়াসের নামে সব ধরনের মত প্রকাশ কার্যকরভাবেই দমন করা হয়েছে।’

সরকার অবশ্য বিশেষ করে বাংলার দুর্ভিক্ষ সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে অমৃত বাজার পত্রিকার মতো পত্রিকাগুলোর সম্পাদকীয় আগাম সেন্সরশিপ নিশ্চিত করে হামলা অব্যাহত রেখেছে। অন্য একটি পত্রিকা হিতবাদকে (১৯১১ সালে প্রতিষ্ঠিত) সাংবাদিকদের নাম প্রকাশের জন্য বলা হয় এবং হিন্দুস্তান টাইমসের দপ্তরে অপ্রত্যাশিত হানা দেয়া হয়। পত্রিকার ওপর ডিফেন্স অব ইন্ডিয়া রেগুলেশনস আরোপ করে বাংলার দুর্ভিক্ষ বা ভারতের করুণ অবস্থা নিয়ে লেখালেখি থেকে সংবাদপত্রকে বিরত রাখার নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি জনগণকে জানানো থেকে বিরত রাখে।

১৯১৫ সালে মূলত সরকারের তরফ থেকে কঠোর জরুরি আইন হিসেবে ডিফেন্স অব ইন্ডিয়া রেগুলেশনস অ্যাক্ট দেশের ভেতর প্রতিশোধমূলক, বিদ্রোহীমূলক তত্পরতা ঠেকাতেই জারি করা হয়েছিল। রেবা চৌধুরী ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, ‘ভারতে ডিফেন্স অ্যাক্ট কেবল যুদ্ধের কারণেই নয়, বরং রাজনৈতিক কারণে বিক্ষোভ অথবা সরকারের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড এবং ভারতে শাসন পদ্ধতির সাধারণ সমালোচনা দমনে ভারত সরকারের নীতি বাস্তবায়নেও ব্যবহার করা হয়েছে।

রেবা চৌধুরী আরো লিখেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে ‘ভারত সরকার ডিফেন্স অব ইন্ডিয়া অ্যাক্টের অধীনে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাপারে সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিষয়বস্তু সম্পর্কে প্রাক-সেন্সরশিপের ক্ষমতায় নিজেকে সজ্জিত করেছিল। কারাদণ্ডের মেয়াদ পাঁচ বছরে বৃদ্ধি করা হয়; প্রতিপক্ষের স্বার্থে ব্যবহূত হতে পারে, এমন তথ্য প্রকাশের দায়ে মৃত্যুদণ্ড বা দ্বীপান্তরের বিধান রেখে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট সংশোধন করা হয়। প্রেস ইমার্জেন্সি পাওয়ার্স অ্যাক্টও একইভাবে সংশোধিত হয়েছিল।’

কংগ্রেসের প্রতিশোধমূলক তত্পরতা, বিশেষ করে কংগ্রেস সংগঠিত ভারত ছাড় আন্দোলন (১৯৪২) বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দল সম্পর্কিত খবর প্রকাশ না করার জন্য পত্রিকাকে নির্দেশ দেয়া হয়। শেষ পর্যন্ত অল ইন্ডিয়া নিউজ পেপার এডিটডরস কনফারেন্স— ভারতীয় সংবাদপত্রের রক্ষক— সরকারকে নিশ্চয়তা দিয়ে বলে, সংবাদপত্রগুলো ভারত ছাড় আন্দোলনসম্পর্কিত খবর প্রকাশে সতর্কতা অবলম্বন করবে এবং স্বেচ্ছায় এ সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ থেকে বিরত থাকবে।

অবশ্য ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। সংবাদপত্র বরাবরই একটা উপায় খুঁজে পেয়েছে। এ সময় নেতারা বিভিন্ন গোপন বেতার বার্তার মাধ্যমে খবর প্রচার করেছেন এবং সেই সঙ্গে সাইক্লোস্টাইল নিউজ শিটের সাহায্যে বেআইনিভাবে তথ্য বিনিময় করেছেন। দেয়ালেও বিভিন্ন বার্তা চালাচালি হয়েছে। আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতিকরা যুগপৎ কাজ করেছেন। আন্দোলন সহিংস রূপ নিলে সরকারকে তা যেকোনো ধরনের প্রতিরোধ দমনের দিকে ঠেলে দেয়।

শেষ পর্যন্ত ১৯৪৬ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশদের হাত থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরে সহায়তা এবং ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভে সাহায্য করার জন্য একটি

 অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। এ সময় ব্রিটিশ সরকার এর আগে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়।




 আরও খবর