কোভিড - ১৯ পরিস্থিতে নানা সংকটে চ্যালেঞ্জের মুখে গণমাধ্যম। এ অবস্থায় বিজ্ঞাপন কমে যাওয়াসহ নানাবিধ সংকটে বেশ কয়েকটি পত্রিকা বেতন কমানো, অবৈতনিক ছুটি, ছাঁটাইসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এ তালিকায় দেশের শীর্ষ গণমাধ্যমসহ প্রথম সারির বেশ কয়েকটি দৈনিক ও টেলিভিশন রয়েছে।
দেশের একমাত্র ট্যাবলয়েড দৈনিক মানবজমিনও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বেতন কমানোর। কর্মীদের বেতন কমালো মানবজমিন
শীর্ষক খবরে পাঠক জেনে থাকবেন ১ জুন প্রধান সম্পাদকের দেয়া ঘোষণা অনুসারে ২০ভাগ বেতন কম পেয়েছেন মানবজমিনের সংবাদকর্মীরা।
মে মাসের বেতনে এটি কার্যকর হলেও পরের মাসেই আগের বেতন কাঠামো অনুসারে বেতন দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
মে'র আগে যা পেতেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা জুন মাসের বেতন দেয়া হয়েছে সেটাই। এতে খুশি প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। এ ব্যাপারে মানবজমিনের এক রিপোর্টার বলেন, হয়তো ক্রাইসিসে পড়ে সাময়িক এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। যদিও এই সংকটের মধ্যেও আমরা নিয়মিত বেতন পাচ্ছিলাম। এখন আমাদের নিয়মিত যত বেতন দেয়া হতো সেটাই দেয়া হচ্ছে এই মাস থেকে। এতো সংকটের মধ্যে থেকেও কর্মীদের কথা চিন্তা করে প্রতিষ্ঠানের এমন সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে ভালো।
এ অবস্থায় এখন দেখার বিষয় অন্যান্য গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান কী করে। বিশেষ করে যেসব প্রতিষ্ঠানের অবস্থা মানবজমিনের চেয়ে ভালো বলে বিবেচিত হয়।
করোনা পরিস্থিতির কারণে দৈনিক আমাদের সময় সবচেয়ে বেশি বেতন কমিয়েছে সংবাদ কর্মীদের। এপ্রিল ও মে মাসের বেতন দেয়া হয়েছে অর্ধেক। জুন মাসের বেতন এখনও দেয়া হয়নি।
এছাড়া বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের দৈনিক কালেরকণ্ঠে বেতন কমানো হয়েছে ১০ থেকে ২০ শতাংশ। এরমধ্যে স্টাফ রিপোর্টারদের ১০ শতাংশ, সিনিয়র রিপোর্টারদের ১৫ শতাংশ এবং স্পেশাল করেসপন্ডেন্টদের ২০ শতাংশ।