ইউরোপিয়ান মিডিয়া অ্যান্ড ইনফরমেশন ফান্ডে আড়াই কোটি ডলার সহায়তা দেবে গুগল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্যের প্রচার বন্ধে প্রতিষ্ঠানগুলোর চেষ্টার ঘাটতি নিয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। রয়টার্সের খবর।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং করোনা মহামারীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্য প্রকাশের মাত্রা মারাত্মক বৃদ্ধি পায়। যেখানে অনেকেই এসব ভুয়া সংবাদ প্রচার বন্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো কম সক্রিয় বলে অভিযোগ করেন। যেখানে দেশটির আইনপ্রণেতারা এসব প্রতিষ্ঠানকে মিথ্যা তথ্যের প্রচার বন্ধে আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানান।
গত সপ্তাহে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট এবং ক্যালস্টে গুলবেনকিয়ান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইউরোপিয়ান মিডিয়া অ্যান্ড ইনফরমেশন ফান্ড চালু করা হয়। যার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে গবেষক থেকে শুরু করে ফ্যাক্ট চেকার, নন প্রফিটেবল প্রতিষ্ঠান কিংবা সাধারণ কেউ যদি সহযোগিতা করতে চান তাদের সহযোগিতা করা।
এক ব্লগ পোস্টে গুগলের ইএমইএ বিজনেস অ্যান্ড অপারেশনসের প্রধান ম্যাট ব্রিটিন বলেন, গত বছরের ভুল বা সমস্যা সম্পর্কে জানতে গিয়ে যেটি আমাদের চোখে আসে তা হলো, সাধারণ মানুষ সঠিক তথ্যের অনুসন্ধানে বেশি আগ্রহী।
এ ফান্ডের মেয়াদ পাঁচ বছর। গত বছর ইউরোপিয়ান কমিশন ইউরোপিয়ান ডিজিটাল মিডিয়া অবজারভেটরি নামে এ প্রজেক্ট চালু করে। এ প্রতিষ্ঠানের ফ্যাক্ট চেকার এবং একাডেমিক গবেষকরা নতুন সব প্রজেক্ট দেখবেন ও নির্ধারণ করবেন।
অন্যদিকে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের চারটি রাজ্যের নির্বাচন ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্যের প্রচার এবং ঘৃণিত বক্তব্য পরিহারের ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ফেসবুক। সম্প্রতি এক ব্লগপোস্টে ফেসবুক জানায়, নির্বাচন ঘিরে সংঘর্ষের সৃষ্টি করতে পারে এমন কিছু কনটেন্টের ব্যাপারে আমরা অবগত।
ব্যবহারকারীর দিক থেকে ভারত ফেসবুকের অন্যতম একটি বড় বাজার। অন্যান্য সব সার্ভিসের মধ্যে ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ বেশি জনপ্রিয়। বর্তমানে দেশটিতে এ সেবা ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৫০ কোটির কাছাকাছি।
এ নির্বাচন তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, কেরালা এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা কতটুকু তা নিরূপণ করবে। কেননা এর কিছু আগেই নতুন এক কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছিল ভারতের কৃষক সম্প্রদায়। যেটি দেশে ও বিদেশে ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি করেছিল। নির্বাচনের সময় এসব অঞ্চলে যাতে কোনো ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ তথ্য বা বার্তা না ছড়ায়, সেজন্য ফেসবুকের হেঁট স্পিচ বা ভায়োলেন্স ডিটেকশন প্রযুক্তির আরো কঠোরভাবে কাজ করবে বলে প্রতিষ্ঠানটি জানায়।
সূত্র : বণিকবার্তা/রয়টার্স