২৭ বছর আগে। ভোরের কাগজে যোগ দিয়ে দুনিয়াকে হাতের মুঠোয় মনে হচ্ছে। এ সৃজনশীল দলটি আজকের কাগজ পত্রিকা দিয়ে ১৯৯১ সালে দেশের সংবাদপত্রের চিন্তার মানচিত্রই বদলে দিয়েছে। এক বছর পর বিদ্রোহ করে আবার ভোরের কাগজ। সেই কাগজ আমাদের মতো তরুণদের কাছে নিজের মননেরই আয়না যেন। যা চাই, তাই পাই। যা শুনতে চাই, তা-ই মাধুর্য মাখিয়ে শোনায়। যা বলতে চাই, এরা তা-ই কেমন করে যেন বলে দেয়। অতএব এদের অংশীদার হওয়া মানে সপ্তম আকাশে চড়া।
চড়ে বসার পর পাশের মানুষগুলোকে দেখি আর চমকে চমকে উঠি। কত লেখা পড়েছি এর! সাদামাটা কাউকে দেখে মনে হয়, আহ, কী সুন্দর শব্দ ব্যবহার করে। এর মধ্যে একজন অচেনা মানুষকে দেখি সবাই খুব গুরুত্ব দেয়। আমি যাদের নামে মোহিত এমন নায়করা দেখি তার কাছে গিয়ে কেমন যেন ম্রিয়মাণ। তর্কে হেরে যায়। তাত্ত্বিক আলোচনায় তার সামনে স্রোতা। সাহিত্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল এক দিন, চেনা সাহিত্যবোদ্ধা লোক দেখি তার সামনে বলে না, শুনে যায় শুধু। নাটক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এমন সব রেফারেন্স টেপ রেকর্ডার থেকে বের হওয়ার মতো বেরোতে থাকল যে মনে হলো, দেশের তাবৎ নাট্যবোদ্ধারাও তার কাছে তুচ্ছ হয়ে যাবে। নাম জানা গেল। অমিত হাবিব। না, লেখা তো খুব পড়িনি। তখন সাংবাদিকতা সম্পর্কে অত ধারণা নেই। এত জেনেও না লিখে, সবাইকে নিজের জানার কথাটা জাহির না করে নেপথ্যে যে কিছু কিছু মানুষ বসে থাকে সেটা জানতামই না। জানলাম। এবং আরও জানলাম, এই মানুষটা লিখে না। লেখায়। নিজে নাটাই ধরে রেখে অন্যদের আকাশে ওড়ায়। আজ আর কাল যত মানুষ অমিত হাবিবকে দেখতে এলেন, তাকে নিয়ে লিখলেন, এদের অনেকেই সাংবাদিকতার আকাশের তারা। তাদের সবাই চেনে। জানে। জানে না যে এই তারাদের আলোটা অমিত হাবিব জ্বালাতেন। তাই তারা বাতিঘরের সামনে এসে নত হয়। নেপথ্য স্রষ্টার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতার অভিবাদনে বুঝিয়ে দেয় প্রাপ্যটা।
তার নেপথ্য নায়কের চরিত্র এবং সর্বজ্ঞতা বোঝানোর জন্য একটা লেখা লিখেছিলাম। লেখা বলতে, নিজের একটা বইয়ের উৎসর্গপত্র। চমক দেব বলে আগে থেকে জানাইনি। অ্যান্টি ক্লাইমেক্স হয়ে গেল অবশ্য। চমকাতে গিয়ে এমন লজ্জা পেলাম। অনেক কাব্য করেছি কিন্তু তার নামের বানানটাই ভুল। আর আমরা যারা কাজ করেছি তার সঙ্গে, তারা এ-তো জানিই যে ভুলের দিকেই তার চোখ যায় সবার আগে। এতটা অপ্রস্তুত জীবনে হইনি। তিনি একটা হাসি দিলেন। সেই হাসিতেই সব মুছে বেরোলেন আমাদের অমিত দা। হাসিটা বিশেষ এই কারণে যে কিছু না বলে, শুধু হেসে যে অনেক কিছুকে শেষ করে দেওয়া যায় এটা অমিত দা’র সঙ্গে পরিচয় না হলে জানতামই না। সামান্য হাসিতে যে একটা মানুষ কী প্রচন্ডভাবে প্রকাশিত হতেন।
নাম নিয়ে ভুল বা বিভ্রান্তি অবশ্য তার জীবনে খুব কম আসেনি। ঢাকার সাংবাদিকদের কাছে তিনি অমিত দা। অথবা দাদা। ফলে তার পুরো নাম না জানারা তার নামটাকে অন্যভাবে চিন্তা করে নিত। বিরক্তিকর বিভ্রান্তি। তার কাছে উপভোগ্য আনন্দ। আর কিছু ভুলের মধ্য দিয়ে কিছু বাস্তবতাও প্রতিষ্ঠিত হয় কোথাও কোথাও। এখানে যেমন। তিনি দাদা। সব অর্থেই। বড়-গুরু-অভিভাবক-পথপ্রদর্শক। তার মতো করে একটা প্রজন্মকে সংবাদমুখী করতে পারেনি কেউ। এবং তা ভেজালমুক্ত শুদ্ধতায় জ্বলজ্বলে। ব্যক্তিগত মত-আদর্শ থাকলেও তার প্রভাব সাংবাদিকতায় এত কম ছিল যে, ২৭ বছর একসঙ্গে ওঠবস করা আমি কাল বিদায়ের পর জানতে পারছি, ছাত্রজীবনে একটা নির্দিষ্ট সংগঠন করতেন তিনি। এই শোকস্তব্ধতার মধ্যেও একটা চোট লাগল যেন। আমি তো বরং এর বিপরীত দলের প্রতিই কখনো কখনো কিছু অনুরাগ দেখেছি। সাংবাদিক হতে হলে সবার আগে চিন্তা আর আদর্শ থেকে নিজেকে আলাদা করতে হয়। তিনি এতটাই পেরেছিলেন যে, দীর্ঘকালের সহকর্মীরাও ব্যক্তি অমিত হাবিবের অনেক কিছু জানতে পারেনি।
আবার ভোরের কাগজ জীবনের গল্প। বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনের প্রথম বর্ষেই সাংবাদিকতায় ঢুকে গেছি। বয়স-আকার-শরীর কোনোটাই সাংবাদিকসুলভ বড়দের অনেক আসরে অধিকার সীমিত। শুনি শুধু। বলার সুযোগই নেই। ১৯৯৫ সালের এক দিন, অফিসের আড্ডায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে কি হবে না এ বিষয়ে মত নেওয়া হচ্ছে সবার। একে কম বয়সের অপরাধে অপরাধী, তার ওপর কাজ করি খেলা বিষয়ে। অতএব, কেউ আমাকে গুনছে না। অমিত দা হঠাৎ জানতে চাইলেন, ‘মামুন এই বিষয়ে আপনি কী মনে করেন?’
আমি অবাক। মনে হয় না এই জীবনে নিজের নাম শুনে অত মর্যাদাবোধ করেছি। সেই একটা মুহূর্ত, একটা বাক্যেই মনে এমনভাবে ঢুকে গেলেন যে পরের ২৭ বছরে অনেক ওঠা-পড়া সত্ত্বেও তিনি হৃদয়ে স্থায়ী। এবং আমি একা নই, ছোটরা সমমর্যাদা পেয়ে পেয়েই তার ঘনিষ্ঠজন হয়ে ওঠে। তর্ক করে। শেখে। বড় হয়। সমৃদ্ধ হয়। তার শিক্ষার ধরনটাও এমন অন্যরকম। ঠিক হাতে কলমে শেখানো নয়, তিনি আমন্ত্রণ জানান নিজেকে প্রকাশের। তার অনিঃশেষ খনি থেকে নেওয়ার। দেওয়ার ক্ষমতা তার আছে, তোমার দায়িত্ব নেওয়ার। আর এজন্যই অমিত হাবিবের অনুসারীরা আর দশজনের মতো সাধারণ শিষ্য হয়ে থাকেনি। নিজেরা যে নিজের নাম করতে পেরেছে এটা তার শিক্ষা কৌশলের অনন্যতায়।
সেই স্বপ্নের ভোরের কাগজ ভাঙল। প্রথম আলো হলো। সম্পাদক মতিউর রহমানের নেতৃত্বে পুরো দলটা প্রথম আলোমুখী। তারও যাওয়ার কথা, সত্যি বললে মতি ভাইয়ের পত্রিকার খবরের অংশের প্রধান সেনানী তিনি হবেন সেটা চূড়ান্ত ছিল। শেষ মুহূর্তে কিছু গোলমালে তিনি থেকে গেলেন। প্রথম আলো বের হলো। চিন্তায়-আধুনিকতায়-বিপণনে অনেক এগিয়ে থাকায় প্রথম আলো এগোচ্ছে। কিন্তু অচিরেই আবিষ্কৃত হলো, একটা জায়গায় পারা যাচ্ছে না। খবর। অন্য সব ক্ষেত্রে সবাইকে ছাপিয়ে যাচ্ছে প্রথম আলো কিন্তু প্রথম পাতা আর খবরের ঝকঝকে প্রকাশে ভোরের কাগজ এই ক্ষেত্রে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ভোরের কাগজ শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে পারল না। অমিত হাবিব পারলেন। প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলেন সময়ের সেরা বার্তা সম্পাদক হিসেবে। নামে বার্তা সম্পাদক। কিন্তু আসলে বোধহয় সম্পাদক। এরপর যায়যায়দিন করলেন প্রধান বার্তা সম্পাদক হিসেবে কিন্তু সেখানেও প্রায় সম্পাদক। সবকিছুই তার হাতে তৈরি। কালের কণ্ঠেও একই ব্যাপার, পদ অন্য কিন্তু প্রকাশে মূল নেতৃত্বে তিনি। কিন্তু সম্পাদক পদটা আসি আসি করে আসছিল না। এর মধ্যে একবার উপদেষ্টা সম্পাদকও হয়ে গেলেন। তিনি বিশ্ব সাংবাদিকতাতেই বোধহয় সেই বিরল মানুষদের একজন, যিনি আগে উপদেষ্টা সম্পাদক হয়েছেন, পরে সম্পাদক। সম্পাদক নাম লেখানোর অপেক্ষা শেষে শেষ হলো ২০ বছর পর, দৈনিক দেশ রূপান্তরে এসে। বাংলাদেশে এর চেয়ে বেশি পত্রিকা বের করেছেন হয়তো কেউ কেউ, কেউ কেউ অনেক বেশিদিন সম্পাদক ছিলেন বা আছেন কিন্তু সম্পাদক হওয়ার ২০ বছর আগে থেকেই কার্যকরী সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের কীর্তি বোধহয় তারই। চার বছরেরও কম সময় সম্পাদক থেকেই সম্পাদক হিসেবে এমন প্রতিষ্ঠা বোধহয় এজন্যই যে, যেকোনো পদে থেকেই তিনি নেতা। নেতারা দুই রকমের। এক দল সামনে থাকে বলে সবাই চেনে-জানে। আরেক দল, পেছনে থাকে। নিজেকে দেখানো লাগে না। শিষ্য-সতীর্থদের মধ্য দিয়েই নিজেকে প্রকাশ করে। অমিত হাবিব এভাবেই আড়ালের নেপথ্য নায়ক। নিজে লিখতেন না। টিভি টক শোতে যেতেন না। অনুষ্ঠান বা আনুষ্ঠানিকতা থেকে দূরে থাকতেন বলে সাধারণ মানুষ হয়তো সেভাবে চেনে না। কিন্তু সেই সাধারণ মানুষের চিন্তার পথ তৈরি করেন সংবাদমাধ্যমের যে নেতারা তাদের অনেকের কাছে অমিত হাবিব শিক্ষক।
তাকে রেখে প্রথম আলোতে চলে গেলাম। কিন্তু যোগাযোগটা থাকল। এত বেশি যে একেকবার মনে হতো, ফিরে আসি। একবার ফিরেও আসলাম। আমার সেই সময়ের তুলনায় অবিশ্বাস্য প্রস্তাব দিয়ে ফিরিয়ে আনলেন। কিন্তু এসেই আর ভালো লাগল না। এক দিন পরই আবার প্রথম আলোতে। বিষয়টা এমন অপেশাদারিত্বের ছিল যে এরপর বাক্যালাপ চলে না। বন্ধ হয়ে গেল। সেসব ভুলে গিয়ে দৈনিক যায়যায়দিন শুরুর সময় যখন ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে আমাকে নিতে চাইলেন এমন অবাক হয়েছিলাম! যায়যায়দিন জমতে জমতেও জমল না। আবার বিচ্ছেদ। আমি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে, তিনি চীনের রেডিওতে। ফিরে এসে সমকালে যোগ দিয়ে আবার ডাকলেন। সাড়া দিতে দিতেও দেওয়া হলো না। কালের কণ্ঠে আবার মিললাম। কিন্তু ছন্দপতন ওখানেও। বেরিয়ে এসে দেশ রূপান্তর করলেন। আমি সঙ্গী হতে পারলাম না। নিয়তি শেষ পর্যন্ত অঙ্কটা মিলিয়ে দিল। মাস ছয়েক আগে আবার সঙ্গী। পরম্পরাটা বলছি এজন্য যে, একবার যাকে তিনি মনে নিয়েছেন তাকে ছাড়তে চাইতেন না। এই পত্রিকায় এসে দেখছি তার ২৫-২৬ বছরের পুরনো অনেকেই একসঙ্গে। সবসময় আমরা সবাই যে এই ভালোবাসার মূল্য দিতে পেরেছি এমন নয়, তবু তিনি তার ভালোবাসার কাজটা করে গেছেন। কারও মধ্যে সম্ভাবনার বীজ দেখলে তবেই তাকে প্রশ্রয়। এবং তারপর আশ্রয়।
প্রায় ষাটের কাছাকাছি। বছর দেড়েক আগের একটা স্ট্রোক শারীরিক সক্ষমতায়ও থাবা বসিয়েছিল। তবু দেখলাম, একটা বিষয় অম্লান। শিরোনাম। সেই জাদু এমনই অটুট যে, এ নিয়ে আমরা ভাবতামই না। যেদিন পত্রিকা খুব সাদামাটা হতো সেদিনও মনে হতো, একটা দুরন্ত লিড হেডিং দিয়ে দাদা ঠিকই জমিয়ে দেবেন। পদ্মা সেতুর বিরাট আয়োজন। কিন্তু জানি, আসল লড়াইটা প্রধান শিরোনামের। সেদিন যাদের শিরোনাম সবচেয়ে আকর্ষণীয় হবে তারাই এগিয়ে থাকবে। কাজেই অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা নির্ভার। ওটা তো হবেই। হলো। পাতা তৈরি-গ্রাফিকস-মেকাপ সব চূড়ান্ত। অপেক্ষা কখন শিরোনামটা আসে। মেকাপ রুমে তিনি অনায়াস ভঙ্গিতে বললেন, লিখুন ‘খুলে যাচ্ছে দখিনা দুয়ার’। পুরো ঘরটা এমন নেচে উঠল যেন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জয়টা আমাদেরই হয়ে গেছে। শেন ওয়ার্ন মারা গেলেন। হেডিং হলো, ‘আকাশে মেলাল ঘূর্ণি।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য জমি কিনে রেখেছিলেন দরিদ্র এক আওয়ামীপ্রেমী। তিনি সেসব কোনো প্রসঙ্গে না গিয়ে গেলেন শব্দে। কালের কণ্ঠে ছাপা হওয়া ‘বিরল ভালোবাসা’ শিরোনাম আর খবরটি বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা মানবিক স্টোরির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ওপরের দিকেই। সরকারি কর্মকর্তা সৌদি আরবে গিয়ে করলেন কুকীর্তি। তিনি খবরের ওপরে লিখে দিলেন ‘পবিত্র ভূমিতে পাপাচার’। সুপার হিট। শিরোনামের জাদুকর এমনি এমনি তো আর না। কিন্তু শিরোনামের ক্ষমতাটা নিয়ে বেশি কথা হয় বলে অনেক ক্ষেত্রেই হারিয়ে যায় নিউজ ট্রিটমেন্টের অত্যাশ্চর্য দক্ষতাটা। একসঙ্গে অনেকগুলো বড় ঘটনা ঘটলে নিউজরুমে একটা বিভ্রান্তি স্বাভাবিক। তিনি অবিচল। কোনো দিন দুশ্চিন্তা করতে দেখিনি। করা লাগবে কেন! পরদিনের পাতায় তো ঠিকই সব ঘটনা প্রাপ্য গুরুত্ব নিয়ে। নিউজ রুমের লিডাররা রাতের বেলা প্রতিদ্বন্দ্বীরা কে কী করল দেখার চেষ্টা করেন। কৌতূহলে কিংবা নিজেদের বুঝতে। কোনো দিন এই কৌতূহলের ফোটাও দেখিনি তার মধ্যে। আত্মবিশ^াস এতটাই প্রবল। কম্পিউটার-অনলাইন এসব আধুনিক ব্যাপার-স্যাপারের প্রতি খুব আগ্রহ ছিল না। এই যুগে যা বাদ দিয়ে সংবাদমাধ্যমের নেতৃত্ব প্রায় অসম্ভব। তবু সব পুষে যেত সম্পাদনা-শিরোনাম আর আইডিয়ার কারিশমায়। দেশ রূপান্তর অনলাইন দুনিয়ায় খুব হইচই ফেলতে না পারলেও ছাপা পত্রিকার খবরের তেজ আর সাহসিকতায় শুরুর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সম্মানের জায়গায়।
দেশ রূপান্তর নিয়ে কাজ বাকি ছিল আরও। স্বপ্ন ছিল। সময় বাধা দিল। ৫৯ বছর যে কারও চলে যাওয়ার জন্যই কোনো বয়স নয়। আর তার মতো মানুষের যিনি কি না একা বাঁচতেন না, অন্য অনেককে বাঁচিয়ে রাখতেন। চলতেন যতটা চালাতেন তার চেয়ে বেশি। না, এটা একজনের মৃত্যু নয়। একটা প্রজন্মের ক্ষয়ে যাওয়ার ক্ষতি। অন্যায্য অবিচার।
ওপারে যদি এই নিয়ে তর্কের সুযোগ থাকে তাহলে অমিত দা অকুতোভয়ে সেই তর্কে নামবেন। এবং জিতবেন।
আমাদের অমিত দা’তে আমাদের এতটাই বিশ্বাস।
দেশ রুপান্তরে আমার-আমাদের অমিত দা লেখাটি ৩০ এপ্রিল প্রকাশিত। - মুক্তবাক