৪ নভেম্বর দৈনিক প্রথম আলোর ২০ বছর পূর্তি হলো। এ উপলক্ষে ফেসবুক ও ইউটিউবে লাইভ প্রোগ্রামে যুক্ত প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। এসময় দর্শকদের সরাসরি নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
আনিসুল হকের সঞ্চালনায় জুলকারনাইন নাসির নামে একজন প্রশ্ন করেন, প্রথম আলোর মত পত্রিকার সম্পাদক হতে চাইলে তার কী কী যোগ্যতা থাকতে হবে?
উত্তর দেয়ার আগে মতিউর রহমানের যোগ্যতা নিয়ে আনিসুল হক বলেন, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান রাজনীতি করতেন, তিনি পরিসংখ্যানে মাস্টার্স, তিনি কবিতা লিখতেন, কলাম লিখতেন, সাংবাদিকতা করেছেন, একতা পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন, তিনি ফার্স্ট ডিভিশন ক্রিকেট খেলতেন, (তৎকালীন) পাকিস্তান জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর্যায়ে চলে গিয়েছিলেন। তার পেইন্টিংসের যে সংগ্রহ আছে তা বাংলাদেশের খুব কম লোকেরই আছে। তিনি এত বই পড়েন যে রেফারেন্সগুলো দেন তাতে আমার মাথা ঘুরতে থাকে। মানে হচ্ছে একটা লোক কবিতা থেকে শুরু করে ক্রিকেট পর্যন্ত, সবকিছু পারেন, করেন এবং বাংলাদেশের সব সাংবাদিকই স্বীকার করেন রিপোর্টিং বিষয়টা কিংবা অনুসন্ধানী রিপোর্টিং উনার মত আর কেউ বোঝেন না। কাজেই তার মত হওয়াটা অসম্ভব। মতিউর রহমান দেখিয়ে দিয়েছেন সম্পাদক হওয়া কত কঠিন।
পরে এ ব্যাপারে উত্তর দেন মতিউর রহমান। তিনি বলেন, স্কুলে পড়াশোনা খারাপ করেছি। খেলার মাঠে ঘুরেছি। কবিতা লেখার চেষ্টা করেছি, ব্যর্থ হয়েছি। ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করে এক পর্যায়ে বাদ দিতে হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় মিছিল করেছি। সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে পেছনে কাজ করেছি। এতকিছু দেখার মধ্যে দিয়ে, আর কিঞ্চিত চেষ্টা করে, কিঞ্চিত লেখাপড়ার মধ্যে থেকে আমার এই অবস্থায় আসা। একটা কথা আমি বুঝি যে পরিশ্রম করতে হবে। কষ্ট করতে হবে। পড়তে হবে। জানতে হবে। চেষ্টা করতে হবে। অদম্য চেষ্টা, অসম্ভব পরিশ্রম, জানাবোঝার চেষ্টা করা, চারদিকে খোঁজ খবর রাখা, এসব কিছুই সহায়ক। আজকের দুনিয়ায় সাংবাদিকতা অনেক সহজ হয়ে গেছে। বহু তথ্য জানা যায়, পাওয়া যায়। এজন্য যিনি সম্পাদক হতে চান, বা যারা হতে চান তাদের উৎসাহিত করব, অনুপ্রাণিত করব আপনারা প্রথম আলোতে আসেন। আমাদের সঙ্গে থাকেন। আমাদের সঙ্গে কথা বলেন। আসেন আমরা আরও নতুন নতুন উদ্যোগ নেই।
ভিডিও লিঙ্ক :
https://www.youtube.com/watch?time_continue=1&v=j4i9greR9ec